দেখা হবে বলে কতদিন কতকাল,
নিশাচর পাখির মতো ছটফট 
তোর আদরের সোহাগি কাঙাল। 

অবিরাম ছুটে চলে দেশ হতে 
দেশান্তরের তেপান্তরে,
অমলিন তোর ছবি, লালপরীর ছবি 
তার বুকের অন্তরে।

কোন একদিন, কোন এক অন্ধকার রাতে
আকুল প্রেমের ব্যাকুল নেট দিলে কাট করে,
ফোন স্কাইভ ফেসবুক সব কাট, লাইন কাটা
দমবন্ধ, বল না সেই কাঙাল বাঁচে কি মরে! 

দেখা নাই
কথা নাই,
বুক পুড়ে
ধাই ধাই। 

চরমদশা_____
শান্ত ভরসা। 
দেখা করতে পিয়ারীর খোঁজে
চলতে চলতে এলো চোখ বুজে।

কাঙ্গাল নির্জীব কঙ্কাল দেহে পথের ধারে 
পরে আছে ভীষণ ক্লান্ত,
যদি দেখা হয়, তবে মন ভরে দু'চোখে দেখে নেস
রে মায়াবতী শান্ত !

চিরদিন চিরকাল
যে ছিলো তোর কাঙাল
নিথর দেহে বরফ সকাল, 
পথের বাঁকে পরে আছে দুর্গন্ধ জঞ্জাল!

প্রাণ খুলে হেসে নেস
সোনালী পাতায় পোড়া ঠোট দেখে,
ওড়নায় মুখ ঢেকে নাক ছিটকাস ভেঙ্গচিতে মুখ বেঁকে
বামন কুড়ি কৈপাড়ার মেঠো পথের ধারে রেখে।

যে ছিলো শান্ত নামে কাতর,
শেষ দেখাতে খুশীতে হবি পাথর।