রবিবার, 06 সেপ্টেম্বর 2020 13:55

অপরাজিতা নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                পরাজিতা তুই সকল ফুলের কাছে,
 তবু কেন তোর অপরাজিতা নাম?
 গন্ধ কি তোর বিন্দুমাত্র আছে?
 বর্ণ-সেও ত নয় নয়নাভিরাম।

 ক্ষুদ্র সেফালি, তারও মধুর-সৌরভ;
 ক্ষুদ্র অতসী, তারো কাঞ্চন-ভাতি;
 গরবিণি, তোর কিসে তবে গৌরব!
 রূপগুণহীন বিড়ম্বনার খ্যাতি!

 কালো আঁখিপুটে শিশির-অশ্রু ঝরে---
 ফুল কহে---মোর কিছু নাই কিছু নাই,
 তোমরা যে নামে ডাকিয়াছ দয়া করে,
 আমি শুধু ভাই, তাই---আমি শুধু তাই।

 ফুলসজ্জায় লজ্জায় যাই নাক,
 পুষ্পমালায় নাহিক আমার স্থান,
 প্রিয় উপহারে ভুলেও কি মোরে ডাক?
 বিবাহ-বাসরে থাকি আমি ম্রিয়মাণ।

 মোর ঠাঁই শুধু দেবের চরণতলে,
 পূজা-শুধু-পূজা জীবনের মোর ব্রত;
 তিনিও কি মোরে ফিরাবেন আঁখিজলে---
 অন্তরযামী,---তিনিও তোমারি মত?            
            
591 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
যতীন্দ্রমোহন বাগচী

যতীন্দ্রমোহন বাগচী (২৭ নভেম্বর, ১৮৭৮ - ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও সম্পাদক। তিনি নদিয়া জেলার জমশেরপুরে জমিদার পরিবারে (বর্তমান বাগচী জমশেরপুর) জন্মেছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস বলাগড় গ্রাম, হুগলি। তিনি তার প্রথম ডিগ্রি কলকাতার ডাফ কলেজ (এখন স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে নিয়েছিলেন। তিনি বহু সাহিত্যিক পত্রিকায় গঠনমূলক অবদান রেখেছেন। ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ পর্যন্ত মানসী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯২১ এবং ১৯২২ সালে তিনি যমুনা পত্রিকার যুগ্ন সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ পূর্বাচল পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদক ছিলেন। তার রচনায় তার সমকালীন রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রভাব লক্ষ্য করে যায়। তাকে রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করে হয়। পল্লী-প্রীতি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কবিমানসের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। "পথের পাঁচালী"র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কবি জীবনানন্দ দাশের মত তার কাব্যবস্তু নিসর্গ-সৌন্দর্যে চিত্ররূপময়। গ্রাম বাঙলার শ্যামল স্নিগ্ধ রূপ উন্মোচনে তিনি প্রয়াসী হয়েছেন। গ্রাম জীবনের অতি সাধারণ বিষয় ও সুখ-দুঃখ তিনি সহজ সরল ভাষায় সহৃদয়তার সংগে তাৎপর্যমণ্ডিত করে প্রকাশ করেছেন।

যতীন্দ্রমোহন বাগচী এর সর্বশেষ লেখা

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.