মঙ্গলবার, 22 সেপ্টেম্বর 2020 17:05

ছাড়পত্র নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(1 ভোট)
                ছাড়পত্র

অন্ধকার এগিয়ে আসে সর্পিল গতিতে
ধীরে ধীরে গ্রাস করে কল্পনা 
গ্রাস করে স্বপ্নের জগৎ।
বাস্তব বড় কঠিন। কঠোর।পাথুরে মাটি 
তুমি আমি সকলেই ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে।
পূর্বপুরুষের সঞ্চিত যা কিছু 
দু'হাতে উড়ায়। রাজা সাজি; করি অভিনয়।
কিংবা পূর্বপুরুষের অর্জিত স্বাধীনতা 
বিকিয়ে দিচ্ছি হাটে 
আমি ঠুঁটো জগন্নাথ !পরের ধনে পোদ্দারী।
ভেবেছিলেন কি তাঁরা ?অকর্মণ্যদের হাতে 
দিয়ে যাচ্ছি জাতির ভার ! জাতীয় পতাকা?
ভায়ে ভায়ে দাঙ্গা !রক্তপাত! অশান্তির দাবানল।
বুকের দুধ শুকিয়ে অশ্রু হয়ে ঝরবে 
আজকের শিশুটার বাসযোগ্য হবে না এ ভূমি?
আজ যে শিশুটা এলো...
কি জবাব দেবে তুমি ?বলবে...
বিকিয়ে দিয়েছি দেশ! তোমাকেও 
আগামী প্রজন্মের কাছে কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘ 
আফ্রিকার জঙ্গলের মতোই অন্ধকার থাকবে।
ধোপদুরস্ত পোশাক-মুখে মুখোশ এঁটে 
আর কতকাল ঘুরে বেড়াবে?
ওরাই আনবে সূর্য !দাবানলে ভস্মীভূত করবে  
তোমাদের ক্লেদাক্ত পাপাচার...
তুমি হবে উলঙ্ঘিত 
বাস্তবকে মেনে নাও এখনও সময় আছে
আজকের শিশুর বাসযোগ্য ভূমির 
ছাড়পত্র দাও।
====================
Copyright@A-S-A-M            
            
430 বার পড়া হয়েছে সর্বশেষ হালনাগাদ মঙ্গলবার, 22 সেপ্টেম্বর 2020 17:25
শেয়ার করুন
শুকুর আলী মল্লিক

শুকুর আলী মল্লিক (আবদুস শুকুর আলী মল্লিক), ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার পূন্যগ্রামে ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হোসেন মল্লিক, মাতা অতুবা বিবি। তাঁর জন্মের পর থেকেই পিতার স্নেহে থেকে বঞ্চিত হয়ে নিঃসন্তান মামা আয়ুব মল্লিক (বাবু), মামীমা বহিমা বিবি (ছোট মা) পুত্রস্নেহে লালিত পালিত হন। গোলাপবাগ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে এলাহাবাদ থেকে সংগীতে সিনিয়র ডিপ্লোমা ও সুরকার/গীতিকার/নাট্যকারশীপ অর্জন করেন। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখি।বাৎসরিক ম্যাগাজিন সম্পাদনা।পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্রিকা সম্পাদনা করা। কিছুদিন শিক্ষকতা। বর্তমানে চার মেয়ে ও এক ছেলে। ১৯১১ সালে পবিত্র হজ্বব্রত সম্পাদন করেন। হজ্বের পর সব কিছু ছেড়ে দিয়ে কেবল লেখালিখিতে মনোনিবেশ করেন। মহান আল্লাহ্ পাকের দাওয়াতের কাজে নিবেদিত প্রাণ। নিজের প্রতিষ্ঠাত গ্রুপ "কালি ও কলম সাহিত্য ভূমি" এ ছাড়া বর্তমানে ১০/১৫ টি অনলাইন সাহিত্য গ্রুপের উপদেষ্টা ও পরিচালক।বিভিন্ন গ্রুপের বিচারকার্য পরিচালনা করছেন। তাঁর আর একটা পরিচয় তিনি সকলের দাদুভাই। তাঁর লেখা বাংলাদেশের অনেক যৌথ কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে। টাকা দিয়ে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশে অনিহা থাকায় একক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেননি। তিনি বাংলাদেশ সফর করেন ২০২০ সালের মার্চ মাসে। সফর কালে বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে সকলের মন জয় করেছেন। তাঁর সার্বিক সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

এই বিভাগে আরো: « শরৎ এলো মাগো তুমি »

2 মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.