বর্তমানকে মেপে মেপে ওজন করে
পরশ পাথর দিয়ে ঘষে বুঝে নেবো
এখনো আসল সোনা কতটুকু আছে।
সে পথই হবে সত্যের পথ
চলার একমাত্র সহজ সরল পথ রেখা,
সে নিক্তি 'সৃষ্টির' সৃষ্ট নয়
সৃষ্টির সে যোগ্যতা-চিন্তা
কল্পনা বিলাস মাত্র।
সাধ করে স্বপ্ন গড়ি, স্বপ্নের পথে চলে
স্বপ্নের মাঝে সত্য খুঁজি, সুখ খুঁজি--
খুঁজে খুঁজে পথ চলি, গন্তব্যে পৌঁছে দেখি
সুখ নেই, আছে সুখের ফানুস,
সত্য নেই আছে সত্যের পরিহাস।
নিজের মত করে ভাবতে ভাবতে
ভাবনাগুলো ছল করে
আমাকে আমার মতই ভাবতে শেখায়।
অপরের শেখানো ভাবনার মত
ভাবতে ভাবতে, ভাবনাগুলো
তাদের নিয়মেই আমাকে নাচতে শেখায়।
মৌলিক পথের কথা ভেবে ভেবে
যারা নির্ধারিত সফল নিয়মে
সুন্দর মসৃন পথে পথ হেঁটেছে, হাঁটছে;
যারা হাঁটবে দু'পাশের সাজানো কাঁটার
সকল বাঁধা অতিক্রম করে, ঐ দেখো
তাদের কাছে তাদের অতীত, বর্তমান
ভবিষ্যৎগুলো একাকার হয়ে
গন্তব্যের শেষ প্রান্তে
অপার্থিব আলোর পেয়ালা হয়ে
ঝুলে আছে যেনো।
#বরিশাল, ০৮০৪১৫
কে এম আলাউদ্দীন
কে এম আলাউদ্দিন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামে পহেলা মে ১৯৫৩ ইং সনে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আব্দুল হামিদ মিয়া, মাতা মরহুমা রাবেয়া খাতুন। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে তিনি সকলের বড় । শৈশবকাল হইতেই তিনি লেখা প্রতি ঝোঁক ছিল। তিনি বরিশাল এপেক্স হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হতে ডি.এইস.এম.এস. ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ৫০ সহস্রতমিক পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে আসছেন। সদা হাস্যোজ্জল ব্যক্তি তিনি। আলোর মুখোমুখি নামে তার একটি কবিতার বই ১৯৮৫ সনে প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানেও তিনি নিয়মিত ভাবে লিখে চলেছেন, সাহিত্যের একজন সেবক হিসেবে এখনও তিনি সক্রিয়। তিনি বর্তমানে ৭৭৫, সদর রোড, শাকুর ম্যানসন (ক্যাপ্টেন নজিব উদ্দিন ক্লিনিক সংলগ্ন) বরিশাল শহরে বসবাস করছেন।
কে এম আলাউদ্দীন এর সর্বশেষ লেখা
3 মন্তব্য
- মন্তব্যের লিঙ্ক মঙ্গলবার, 14 এপ্রিল 2015 13:02 লিখেছেন সুজন হোসাইন
দারুন লাগলো ...
- মন্তব্যের লিঙ্ক সোমবার, 13 এপ্রিল 2015 17:56 লিখেছেন মোঃ আবু সাইদ সরকার
খুব ভালো লাগলো।
- মন্তব্যের লিঙ্ক সোমবার, 13 এপ্রিল 2015 16:05 লিখেছেন সার্জেন্ট মোঃ নাজমুল কবির (অবঃ)
আমিও আজ মন্তব্যের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ভাবছি আমাদের গন্তব্যের শেষ কোথাও। ভালো লিখেছেন দাদা। ধন্যবাদ নিরন্তর।
মন্তব্য করুন
Make sure you enter all the required information, indicated by an asterisk (*). HTML code is not allowed.