কোনও এক পড়ন্ত বিকেলে নিতান্তই গল্পছলে বলেছিলাম
মল্লিকা, আজ আমার মুক্তি চাই;আমি এখন অন্য কারো!
আধোমুখ অশ্রু ঢেলে সেক্ষণে তুমিও বলেছিলে বিদায়।

মল্লিকা, দিব্যি দিয়ে বলছি.-
আমি এখনো তোমারই আছি,শুধুই তোমার।
এখনো সেই লাল শার্টের হলুদ বোতামে
উষ্ণ স্পর্শ খুঁজে চলি তোমার।
এখনো পদ্ম দিঘীর পাড়ে খুঁজে ফিরি
তোমার মায়াবী আঁচলের উদার জমিন।

হয়তো প্রশ্ন করবে মল্লিকা-কেন করেছিলাম এমন?

দেখতে চেয়েছি তোমার ভালবাসার উচ্ছ্বলতা!
কতটুকু আগলে রাখতে পারো নিজেকে
এন্টার্কটিকার বরফ খন্ডের মত।
দেখতে চেয়েছি আরো,বেদনার মহাসাগরের তীরে ঘেঁষে
দাড়িয়ে;কতটুকু হাসি ফোঁটে তোমার মুখে।
হৃদয় কোঠরে কতটুকু সোহাগের অবকাঠামো
নির্মাণ করলে তুমি হবে আমার!

একটিবারও কি বুঝতে পারো নি, মল্লিকা?
তোমার আরক্তিম বদন আমার কতখানি প্রিয়?
আর,তুমি! অনলদগ্ধ করে চলেছো আমায় প্রতিক্ষনেই।
মল্লিকা,জানোই তো. তুমি আমার প্রেমদেবী আফ্রোদিতি,
তবে ক্লিওপেট্রার রূপে কেন আঘাতে করো জর্জরিত?
এর চেয়ে বরং বলেই দাও মল্লিকা,কতটুকু ভালবাসো আমায়?
আমিও আমার লজ্জানত মুখটি লুকাবো তোমারই আঁচলে!